ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদীর অকাল ও মর্মান্তিক মৃত্যুতে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ গভীর শোক প্রকাশ করছে। তাঁর এই মৃত্যু শুধু একজন তরুণ প্রতিবাদী কণ্ঠের নিভে যাওয়া নয়; বরং ন্যায়, অধিকার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পথে এগিয়ে চলা একটি প্রজন্মের জন্য গভীর বেদনার ঘটনা।
শরীফ ওসমান হাদী জুলাই বিপ্লবের চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে সাহসিকতার সঙ্গে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে কথা বলেছেন। তাঁর কণ্ঠ ছিল অন্যায় ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক। তিনি এ দেশের আপামর মুক্তিকামী মানুষের আধিপত্যবাদবিরোধী আকাঙ্ক্ষার কণ্ঠস্বর হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ তাঁর শহীদী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, সহযোদ্ধা ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, হাদীর অপূরণীয় কাজ ও তাঁর আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ গঠনে তাঁর সহযোদ্ধা এবং দেশের সাধারণ মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকবেন।
এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ শরীফ ওসমান হাদীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোরালো দাবি জানাচ্ছে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে—দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যুক্ত জুলাই বিপ্লবীসহ সকল সচেতন ও প্রতিবাদী নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের অপরিহার্য দায়িত্ব। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের অধিকার রক্ষায় কোনো আপস গ্রহণযোগ্য নয়।
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের মাধ্যমেই শহীদ ও নিহতদের প্রতি প্রকৃত সম্মান প্রদর্শন সম্ভব বলে আমরা বিশ্বাস করি। এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ন্যায়, মানবিকতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পক্ষে তার অবস্থান অব্যাহত রাখবে।
—এমিরেটাস প্রফেসর ড. শাহজাহান খান উপাচার্য,
উপাচার্য, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ